পেঁয়াজ আমদানির পারমিটের অপেক্ষায় হিলি স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীরা
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গেলো বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।
ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। অবশেষে টানা সাত মাস বন্ধ থাকার পর গেলো ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ভারত সরকার।
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার পরপরই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য স্থানীয় উদ্ভিদ সংনিরোধ অফিসে ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছে স্থানীয় পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। ইতিমধ্যে অফিসটিতে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য (আইপি) ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছেন তারা। পেঁয়াজ আমদানির গুঞ্জনে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম। প্রভাব পড়েছে বেচা-বিক্রিতেও। এদিকে অনেক দিন পর পেয়াঁজ আমদানির কথা শুনে খুশি স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বন্দরের শ্রমিকরা। বন্দরের আড়ৎগুলোতে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে এমনটাই আশা আমদানিকারকদের।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, ভারত সরকার যদি পেঁয়াজ দেয় আমাদের তাহলে আমরা পেঁয়াজ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যেহেতু সামনে রমজান মাস এই সময় যাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বেশি বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করব। এতে করে বাজারে পণ্যটির দামও স্বাভাবিক থাকবে।
আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুল হাকিম জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দেবার পর আমি পেঁয়াজ আমদানির জন্য উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিসে ৫০০ টর পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করেছি। আমার মতো আরও অনেক পেঁয়াজ আমদানিকারক ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ভারতের পেঁয়াজ আসবে।
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছে আমদানিকারকরা বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন প্যাথোলজিস্ট মাহমুদুল হাসান মুসা জানান, এখন পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের কোনও চালান আসেনি। তবে অনেক আমদানিকরাক ইমপোর্ট পারমিটের জন্য আবেদন করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস অনুমতি দিলে আগামী দুই-একের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবে।
জেবি
মন্তব্য করুন